চীন প্রতিবেদক
‘চীনের অর্থনীতির উন্নয়নের দুটি অলৌকিক ঘটনা: বাংলাদেশ কী শিখতে পারে’ শীর্ষক এক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটির অর্থনীতির দুটি অলৌকিক ঘটনা হচ্ছে উচ্চগতির অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক স্থিতিশীলতা।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) বিকেলে এ ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টার ও চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্সের বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ ইনস্টিটিউট যৌথভাবে এ ওয়েবিনারটি আয়োজন করে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাসুম ইকবাল ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন। চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্সের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রিসার্চ সেন্টার ফর ইকোনমিক ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক অধ্যাপক ড. শিয়াওপিং ওয়াং ওয়েবিনারে মূল বক্তব্য দেন।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপের সাবেক ডিন ও ডিআইইউ জার্নাল অব বিজনেস অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপের চিফ ইন এডিটর প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম ওয়েবিনারে সেশন রিঅ্যাক্টর হিসেবে যোগ দেন। ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টারের ডেপুটি ডাইরেক্টর ড. একেএম মহসিন।
অধ্যাপক ড. শিয়াওপিং ওয়াং বলেন, চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক উন্নয়নের দশটি পাঠ শিখতে পারে।
তিন দিক থেকে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন শিয়াওপিং ওয়াং। একটি হলো চীনের ‘দুটি অলৌকিক ঘটনা’ অর্থাৎ দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক স্থিতিশীলতা ও এর অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা। দ্বিতীয়টি চীনের ‘দুটি অলৌকিক ঘটনা’ অর্জনের কারণ অর্থাৎ সঠিক নেতৃত্বের আনুগত্যে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ও চীনা বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি সমাজ। তৃতীয়টি হলো বাংলাদেশ কীভাবে এর থেকে উপকৃত হতে পারে।
ওয়েবিনারের অন্য তিনজন আলোচক অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনের দুই অলৌকিক বিষয় ও তা থেকে বাংলাদেশ কী শিক্ষা অর্জন করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা হলেন- বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্সের ডিন প্রফেসর ড. ঝাওইয়াং উ, চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্সের ওভারসিজ এডুকেশন স্কুলের ডিন প্রফেসর ডক্টর (ডারসি) উয়েহুয়া ইয়ে ও বাংলাদেশ চায়না সিল্ক রোড ফোরামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব এবিএম খোরশেদ আলম।
চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্সের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড ইকোনমিক্সের ডক্টরাল ফেলো ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টারের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মো. ছাইয়েদুল ইসলাম ওয়েবিনারটির সমন্বয় করেন।