নোয়াখালীর সুধারামে (সদর) মায়ের করা হত্যা মামলায় ছেলে মো. সোহাগকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বিকেলে এওজবালিয়া ইউনিয়নের করিমুল্যা বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়ে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ৩ এপ্রিল আসামি সোহাগের স্ত্রী মারজাহান বেগমের মৃত্যুকে বিষপানে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়। পরে হত্যার বিষয়টি জানতে পেরে গত ১৬ জুন (বুধবার) সোহাগের সৎমা রহিমা বেগম আদালতে অভিযোগ করেন। আদালত মামলাটি নথিভুক্ত করতে সুধারাম থানাকে নির্দেশ দেয়। তিনি আরও জানান, বাদি রহিমা বেগম ওই হত্যা মামলায় তার স্বামী আবদুল খালেক, সৎ ছেলে মো. সোহাগ, রাজু ও মেয়ের জামাই মো. জামাল উদ্দিনকে আসামি করেন। সোহাগ দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গোপন সংবাদে মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয়।
রহিমা বেগমের দাবি, হত্যার বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ করায় তাকে দুই মাসের বেশি সময় ঘরে আটকে রাখে আসামিরা। পরে কৌশলে স্বামীর বাড়ি থেকে বের হয়ে আদালতে মামলাটি করেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, স্বামী, দুই সৎ ছেলে এবং পুত্রবধূ মারজাহান ও তার তিন শিশু সন্তান নিয়ে সদর উপজেলার উত্তর শুল্লুকিয়া গ্রামের রহিমা বেগমের সংসার। হত্যার কয়েক মাস আগে সোহাগের পরকীয়ার সম্পর্ক নিয়ে স্ত্রী মারজাহানের সঙ্গে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এ নিয়ে মারজাহানকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতনসহ মেরে ফেলার হুমকি দিত সোহাগ।
গত ৩ এপ্রিল দুপুরে পুত্রবধূ মারজাহানকে বাড়িতে রেখে বাবার বাড়ি যান রহিমা। মারজাহান বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে রাত ২টায় মোবাইল ফোনে জানান স্বামী আবদুল খালেক। পরদিন সকালে বাড়িতে ফিরে তিনি জানতে পারেন সোহাগের পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় আসামিরা মারজাহানকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ওসি জানান, বুধবার (৭ জুলাই) সকালে আসামিকে মো. সোহাগকে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।