রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন
সদ্যপ্রাপ্ত খবর :
অটিস্টিক শিশুদের আবাসন ও কর্মসংস্থান করবে সরকার   ||   নারীর প্রতি যৌন ও পারিবারিক সহিংসতা ক্রমাগতই বাড়ছে   ||   শান্তিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নব-নির্বাচিত সভাপতি হলেন মৃত্যুঞ্জয়ী ছাত্রনেতা ছদরুল ইসলাম  ||

বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিমান ভাড়া দিতে নারাজ মালয়েশিয়ার এসএমই গ্রুপ

আহমাদুল কবির / ৫২৯ বার পঠিত:
আপডেট সময় : শনিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২২
বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিমান ভাড়া দিতে নারাজ মালয়েশিয়ার এসএমই গ্রুপ

মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিমানের ভাড়া দিতে রাজি নয় দেশটির নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এসএমই অ্যাসোসিয়েশন। যদিও সম্প্রতি মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) শ্রমিকদের বিমান ভাড়া দেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়। অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি-জেনারেল চিন চি সিওং বলেন, এটি বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক বিষয়। স্থানীয় নিয়োগকর্তারা তাদের কোম্পানিতে বিদেশি কর্মীদের প্রয়োজনীয়তার ওপর নির্ভর করে এ বিষয়ে নিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করতে পারে।

যদি এসএমইদের জরুরিভাবে কর্মীদের প্রয়োজন হয় এবং অর্থ দেওয়ার সামর্থ্য থাকে তবে তারা বিষয়টি দ্রুত করার জন্য ঢাকার রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে পেতে পারে। কিন্তু অন্যদের জন্য যারা অপেক্ষা করতে পারে, এজেন্টরা কর্মীদের তাদের নিজস্ব বিমান ভাড়ার জন্য অর্থ দেবে। মালয়েশিয়া ২০১৮ সালে আরোপিত বাংলাদেশি কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে। ১৯ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে একটি নতুন এমওইউ স্বাক্ষরিত।

চিন বলেন, নিয়োগকর্তারা মালয়েশিয়ায় আগমনের পর ডকুমেন্টেশনের যাবতীয় খরচ বহন করবে। এটি আমাদের জন্য একটি বড় বোঝা হতে চলেছে কারণ আমরা সবেমাত্র করোনা থেকে সেরে উঠছি। এই সমঝোতা স্মারকে সম্মত হওয়া ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প ছিল না। স্থানীয় শ্রমিক সংকটের কারণে আমাদের তাদের খুবই প্রয়োজন। অর্থ প্রদানের মধ্যে একটি লেভি, ভিসা, মেডিকেল পরীক্ষা এবং করোনাভাইরাস পরীক্ষা, স্বাস্থ্যবিমা গ্যারান্টি, কোয়ারেন্টাইনের খরচ এবং একটি মোবাইল ফোন সিম কার্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সমঝোতা স্মারকে বলা হয়েছে, ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরে ফেরার বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য পরিষেবার ব্যয়ের জন্য নিয়োগকর্তাদের অবশ্যই দায়ী থাকতে হবে। বাংলাদেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীও জানিয়েছে যে মালয়েশিয়া থেকে বিনামূল্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ সমিতির (সামেন্টা) সভাপতি কাম লিয়ান হুই বলেন, এমওইউতে বেশিরভাগ ধারা মেনে চলা ছাড়া নিয়োগকর্তাদের আর কোনও বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আমরা আরও নমনীয়তার জন্য এবং নিয়োগকর্তাদের কথামতো চলার জন্য জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। বেশিরভাগ নিয়োগকর্তাই মাসের শেষে ন্যূনতম বেতন দিতে পারেন এবং পরে ভাতা দিতে পারেন।

দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়া। দেশটির সব সেক্টরে কর্মী নেওয়ার অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদ। বিশেষ করে গৃহকর্মী, বাগান, কৃষি, উৎপাদন, পরিষেবা, খনি ও খনন এবং নির্মাণ খাতে বাংলাদেশি কর্মী নেবে দেশটি। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার চেষ্টা বারবার ব্যাহত করেছে ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি। তাদের তৈরি সিন্ডিকেটের অবৈধভাবে এ বাজার দখলের চেষ্টায় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এটি বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ কমিটির বৈঠকে ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করে দেয় দেশটি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো সংবাদ