হাতে মার আছে। উইকেটে সেট হলে একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন। কিন্তু সৌম্য সরকারের সবচেয়ে বড় সমস্যা ধারাবাহিকতা। এক ম্যাচ ভালো খেললে পরের কয়েক ম্যাচ পর্যন্ত আর সাফল্যের দেখা মেলে না। বিশেষ করে কদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজে একদম যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন সৌম্য। পাঁচ ম্যাচে সাকুল্যে করেছেন মাত্র ২৮ রান। গড় ৫.৬। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে একটি ম্যাচেই সুযোগ পেয়েছিলেন, সেখানেও আউট ৪ রানে।
তবে ঘরের মাঠে দুটি সিরিজই ব্যাটসম্যানদের জন্য বেশ কঠিন ছিল। শুধু সৌম্য নন, ব্যর্থ হয়েছেন অন্যরাও। সামনে এবার বিশ্বকাপ। যেহেতু আইসিসির ইভেন্ট, সেখানে এত বোলিং সহায়ক উইকেট হবে না। স্পোর্টিং উইকেটে কীভাবে রান করা যায়, সেই প্রস্তুতিই নিচ্ছেন সৌম্য। মূল বিশ্বকাপের আগে ওমানে বাছাইপর্ব খেলতে হবে বাংলাদেশকে। পুরো দল আগেভাগেই চলে যাচ্ছে ওমান। ৩ অক্টোবর দেশ ছাড়বে মাহমুদউল্লাহ ব্রিগেড।
মিরপুরে আজ (শুক্রবার) অনুশীলনের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে সৌম্য বলেন, ‘এতদিন অনুশীলন করছিলাম। আশা করি প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। আমরা তাড়াতাড়ি যাচ্ছি। ওখানে প্রস্তুতি ম্যাচও আছে। ওখানে প্রস্তুত হওয়ার আরও সুযোগ পাব। যতটুকু হয়েছে ভালো। ভালো কিছুর আশা নিয়েই যাব।’ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কেমন উইকেট আশা করছেন? বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান জানান, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট স্পোর্টিং উইকেটে হয়। আশা করি, সবাই ওখানে মানিয়ে নিতে পারবে। আমরা জয়ের ধারায় আছি। একটা আত্মবিশ্বাস আছে।’
স্পোর্টিং উইকেটে খেলা এবং বড় শটের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছেন জানিয়ে সৌম্য বলেন, ‘স্কিল নিয়ে কিছু কাজ করা তো হয়েছেই। ব্যালেন্স করা, উইকেটে মানিয়ে নেওয়া নিয়ে কাজ করেছি। আমরা গত যে দুই সিরিজে খেলেছি সেখানে উইকেট অনেক কঠিন ছিল। স্পোর্টিং উইকেটে খেলার জন্য আবার নিজেকে প্রস্তুত করতে হচ্ছে। গত প্র্যাকটিস সেশনগুলোতে উইকেট ভালো ছিল। বড় শট খেলতে গেলে ভারসাম্য জরুরি। ওটা নিয়েই বেশি কাজ করেছি।’ কোন দল তার প্রিয় প্রতিপক্ষ? সৌম্যর জবাব, ‘প্রিয় প্রতিপক্ষ বলে কেউ নেই। সবার সাথেই ভালো করতে হবে। আলাদা কোনো কিছু নেই। মাঠে সব প্রতিপক্ষই সমান। ১০ নম্বর দলের বিপক্ষে যে মনোযোগ নিয়ে খেলা উচিত, ১ নম্বর দলের বিপক্ষেও একই মনোযোগ নিয়ে খেলা উচিত। সবাইকে সমান চোখে দেখলে ভালো হয়। সব দল সমান। আলাদা কিছু না ভেবে নিজের সেরাটা দিতে হবে।’