কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) বিশেষ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে আলোচিত প্রেমের সম্পর্কে নবজাতকের জন্ম,
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবার দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধনী ২০০৩ ধর্ষন করার অপরাধ) মামলায় গতরাতে (১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ সোমবার) কাশিয়ানী থানার উপপরিদর্শক এস আই সেলিম মিয়া সহ সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে আসামি আটক করে।পরবর্তী গোপালগঞ্জ আদালতে প্রেরন করে ইফাজ চৌধুরীকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি) জিল্লুর রহমান।
উল্লেখ্য দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী লিলা খানম নামে এক কিশরী দুই বছর প্রেমের সম্পর্কের মায়াজালে জড়িয়ে শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হয়, ইতিমধ্যে জন্ম নিয়েছে ফুটফুটে এক পুত্র সন্তান যার নাম রেখেছে নিশাদ, নিশাদের বয়স আজ ১৯ দিন।গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের নাটগ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছিল।
মামলা সুত্রে জানাযায়, গত ০২ বছর পূর্বে একই গ্রামের মোয়াজ্জেন চোধুরীর ছেলে ইফাজ চৌধুরী(২০)ও লিলা খানমের (১৫) মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।সেই সূত্রে প্রায়ই তাদের বাড়ীতে যাতায়ত ছিল ইফাজের।
লিলা খানমকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যৌন সঙ্গম করতঃ ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়।বিষয়টি ইফাজ চৌধুরীকে জানাইলে দ্রুত বিবাহ করবে বলে আস্বস্ত করে।অন্ধ বিশ্বাস আর ভালোবাসার ধ্রুবজালে জড়িয়ে গত ২৬ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখে লিলা খানমের কোল জুড়ে জন্ম নেয় এক পুত্র সন্তান।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়।মেয়ের পরিবার থেকে ছেলেও তার পরিবারকে অবহিত করলে বিষয়টি তারা অস্বীকৃতি জানায় এবং এ সন্তান তার নয় ছাপ জানিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় গ্রাম্য সালিসির মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় সমাজপতি ও তার পরিবার।
নির্বাক শিক্ষার্থী লীলা খানম তার নবজাতক সন্তান এর স্বীকৃতি চায়।
মেয়ের অসহায় বাবা উপায়ান্তর না পেয়ে নিজে বাদি হয়ে গত ০৬/০২/২৪ তারিখে কাশিয়ানী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে (সংশোধনী ২০০৩ ধর্ষন করার অপরাধ)মামলা করে।
থানা পুলিশের তৎপরতায় আসামি আটকে সন্তোষ প্রকাশ ও দ্রুত সঠিক বিচারের দাবি জানান ভুক্তভোগী ওই নারী।