শেষ হইয়াও যেনো হইলো না শেষ- এ বাক্যটিই সবচেয়ে মানানসই টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচের অস্ট্রেলিয়া সফরের ক্ষেত্রে। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন না নেওয়ায় দ্বিতীয়বারের মতো তুলে নেওয়া হয়েছে জকোভিচের ভিসা। ফলে নির্বাসনে যেতে হচ্ছে তাকে। এবার অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী অ্যালেক্স হক নিজের বিবেচনামূলক ক্ষমতা ব্যবহার করে জকোভিচের ভিসা বাতিল করে দিয়েছেন। তার মূল্যায়ন হলো, করোনাভাইরাসের টিকা না নেওয়া জকোভিচ অস্ট্রেলিয়ার মানুষদের জন্য চরম স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারেন।
শুক্রবার দ্বিতীয়বারের মতো জকোভিচের ভিসা তুলে নেওয়ার পর অ্যালেক্স হক বলেছেন, ‘অভিবাসন আইনের ১৩৩সি(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে জনাব নোভাক জকোভিচের ভিসা প্রত্যাহার করছি। এতে জনগণের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’ এর আগে প্রথমবার জকোভিচের ভিসা বাতিল করার পর উচ্চ আদালতের রায়ে গত সোমবার সেটি ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। একই আশায় জকোভিচের আইনজীবীরা আবারও আবেদনের কথা চিন্তা করছেন। তবে এবার ভিসা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
কেননা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও জকোভিচের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তার মতে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সফলতাই পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যার প্রমাণ নিম্ন মৃত্যুহার, শক্তিশালী অর্থনীতি এবং পৃথিবীর সর্বোচ্চ ভ্যাকসিনেশন হার। এক বিবৃতিতে মরিসন জানিয়েছেন, মহামারীর সময়টায় অস্ট্রেলিয়ানরা অনেক আত্মত্যাগ করেছে। যার ফলও তারা পেয়েছে। আর এসব আত্মত্যাগের যথাযথ সম্মান দেওয়া তার সরকারের দায়িত্ব। এ কারণেই মূলত অভিবাসন মন্ত্রী আজকের সিদ্ধান্তটি (জকোভিচের ভিসা বাতিল) নিয়েছে।