গোপালগঞ্জ (বিশেষ) প্রতিনিধিঃ
গ্রামের এক গৃহবধুর বাসায় বেড়াতে এসে ফেঁসে গেল পার্শ্ববতী গ্রামের আত্মীয় রাহাত ( ৩৮) নামে এক যুবক।
ঘটনাটি ঘটেছে গত (২৭ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার) গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়ন এর জয়নগর বাজারেরর পাশে এক ভাড়া বাড়ীতে।
স্থানীয় কথিত কিছু যুবক বাড়িতে ঢুকে আত্মীয় পরিচয় যুবকের পরিস্কার পরিচয় জানতে চায়।
যুবতী মহিলার ভাষ্যমতে – স্থানীয় কতিপয় কয়েকজন ব্যক্তি এসে অনৈতিক কার্যকলাপের অপবাদে বিশ্রী গালি-গালাজ করে। ও
প্রসাশন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওদের শাস্তি পেতে হবে বলে ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদান করে।
অসহায় যুবক-যুবতী উপায় না পেয়ে মানসম্মান রক্ষায় তাদের চাহিদা থেকে আট হাজার টাকা কম দিয়ে গচ্ছিত বিয়াল্লিশ হাজার টাকা নিয়ে নেয় কথিত প্রভাবশালী রা।
এতেও শেষ রক্ষা হলোনা। তাৎক্ষনিক কাশিয়ানী থানার পুলিশের একটি দল এসে হাজির। দুইজনকেই নিয়ে যায় থানায়।
এ বিষয়ে গৃহবধূর কোন অভিযোগই ছিলনা বা অনৈতিক বা আপত্তিকর অবস্থার ও কোন প্রমান ছিল না।
অবশেষে পক্ষ – বিপক্ষ দিন ব্যাপি চুল-ছেঁড়া দর কষাকষি যল্পনা কল্পনার অবশান ঘটলো।
নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকায় থানার কবল থেকে মুক্তি মেলে সন্ধায়।
অবশিষ্ট রয়ে গেলো কতিপয় ব্যক্তিদের নেওয়া ৪২ হাজার টাকার হিসাব।
পুলিশের তোপের মুখে বাধ্য হয়ে থানায় এসে ফেরত দেয় মাত্র দশ হাজার টাকা। অন্য ভাগিদারদের না পাওয়ায় অবশিষ্ট টাকা পরে এসে দিবে বলে আশ্বস্ত করে দলের দায়িত্বশীলরা।
প্রতিবেদককে এমন সব তথ্য দিয়েছে সন্দেহ জনকভাবে আটককৃত গৃহবধূ ও রাহাত।
এমন সব তথ্যের ভিত্তিতে কাশিয়ানী থানার তদন্ত (ওসি) অফিসার খোরশেদ আলম এর কাছে মুঠফোনে জানতে চাইলে তিনি বিষয় টি অস্বীকার করেন।এবং এমন নামে বা রাতে এমন ঘটনায় কাউকে আনা হয়নি। আবার বলেন – এমন কিছু না ভুল বোঝাবুঝি।
এ বিষয়ে কাশিয়ানী ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি)মোঃ জিল্লুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি – ঘটনার বিষয় স্বীকার করে বলেন কারো কোন অভিযোগ না থাকায় দুইজনকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।আর মীমাংসার বিষয় তদন্ত কর্মকর্তা জানে।টাকার বিষয়ে আমার জানা নেই।